সচিব-মহোদয় - কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ-শিক্ষা মন্ত্রণালয়
Wellcome to National Portal



Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১st সেপ্টেম্বর ২০২৫

সচিব, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ

জনাব মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম ১৯ আগস্ট ২০২৫ তারিখে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব হিসেবে যোগদান করেন। এর আগে তিনি ৩ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে সচিব পদে পদোন্নতি লাভ করে প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ের অধীনে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (PPP) অথরিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। এর আগে তিনি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগে অতিরিক্ত সচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ১৩তম ব্যাচের কর্মকর্তা হিসেবে জনাব রফিকুল ইসলাম তিন দশকের বেশি সময় ধরে মাঠ প্রশাসন, দুর্নীতি দমন কমিশন, শিল্প মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার, ভূমি সংস্কার এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি তিনটি জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে স্থানীয় সরকার নীতি প্রণয়ন ও কর্মসূচি বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। বর্তমানে সচিবের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি (ডেসকো)-এর পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।

শিক্ষাজীবনে তিনি সবসময় কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন। বরিশাল জেলার খ্যাতনামা গারুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং পটুয়াখালী সরকারি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করার পর তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) থেকে কৃষিতে স্নাতক (অনার্স) ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে তিনি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ন্যাশনাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (NST) ফেলোশিপ লাভ করে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃষি সম্প্রসারণ শিক্ষায় স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি রয়েল ডাচ দূতাবাসের বৃত্তিতে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বৃত্তিতে যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব গ্রিনউইচ থেকে সাসটেইনেবল ফিউচারস বিষয়ে আরেকটি স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি In Quest of Sustainable Futures এবং Measuring Your Carbon Footprints নামক দুটি বই রচনা করেন।

দীর্ঘ প্রশাসনিক জীবনে তিনি চীন, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাজ্য, মিসর, তুরস্ক, জাপান ও ফিলিপাইনসহ বহু দেশে শিক্ষা ও পেশাগত প্রশিক্ষণের জন্য এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগদানের জন্য ভ্রমণ করেছেন। তিনি ২০০৭ সালে চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে এক মাসব্যাপী প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ (FDI) প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।

তিনি বিবাহিত। তাঁর স্ত্রী বেগম শুভ্রা আলম শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন। তাঁদের দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তিনি বরিশাল জেলার গুড়িয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।