কনটেন্টটি শেষ হাল-নাগাদ করা হয়েছে: বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ এ ১১:৩৪ AM

অ্যাকসেলারেটিং অ্যানড স্ট্রেনদেনিং স্কিলস ফর ইকনমিক ট্রান্সফরমেশন (ASSET) প্রকল্প।

০১। প্রকল্পের নাম:

অ্যাকসেলারেটিং অ্যানড স্ট্রেনদেনিং স্কিলস ফর ইকনমিক ট্রান্সফরমেশন (ASSET) প্রকল্প

০২। প্রকল্পের উদ্দেশ্য:

প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য শ্রমবাজারের চাহিদার সাথে সামঞ্জস্য রেখে ভবিষ্যৎ কর্মে প্রযুক্তির ব্যবহারের দক্ষতা যুব সমাজের জন্য নিশ্চিত করা এবং শ্রমবাজারে নারী ও সুবিধাবঞ্চিতদের অবদানের হার বৃদ্ধি করা।

০৩। বাস্তবায়নকারি সংস্থা:

কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর

০৪। প্রকল্পের মেয়াদ:

জুলাই, ২০২১ থেকে ডিসেম্বর, ২০২৬

০৫। প্রকল্প অনুমোদনের তারিখ:

৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১ খ্রি.

০৬। প্রকল্প এলাকা:

 

বিভাগ

জেলা

সকল বিভাগ

সকল জেলা

 

০৭। প্রাক্কলিত ব্যয়:

 

মোট ব্যয় ৪,২৯,৯৯৯.৫৫ লক্ষ টাকা

  • জিওবি: ১,৭১,৯৯৯.২৪ লক্ষ টাকা
  • বিশ্ব ব্যাংক (আইডিএ): ২,৫৮,০০০.৩১ লক্ষ টাকা

০৮। অর্থায়নের উৎস:

জিওবি ও বিশ্বব্যাংকের লোন

০৯। প্রধান অংগসমূহ:

 

 

 

 

কম্পোনেন্ট 1:  প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা উন্নয়ন কার্যক্রম পরিবর্তন/পরিবর্ধনের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ কর্মের অন্তর্ভুক্তি এবং স্থিতি নিশ্চিতকরণ

 

সাব কম্পোনেন্ট ১.১: প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধিমূলক অনুদান:

এই উপ-কম্পোনেন্টের আওতায় দেশের সরকারি-বেসরকারি 220টি কারিগরি শিক্ষা ও স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য যথাক্রমে সর্বোচ্চ ৬ কোটি ও ৪ কোটি টাকার সরকারি অনুদান বা Institutional Development Grant (IDG) প্রদান করা হচ্ছে। এ অর্থ প্রতিষ্ঠানের ল্যাবের যন্ত্রপাতি আধুনিকায়নে, শিক্ষক-কর্মকর্তাগণের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষণ, বাস্তব জ্ঞান অর্জনের জন্য শিল্প প্রতিষ্ঠানে সংযুক্তি, শিক্ষার্থীদের জন্য শিল্প প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন, শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করতে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিগণকে অতিথি বক্তা হিসেবে আমন্ত্রণ, চাকুরি মেলা আয়োজন, কারিগরি শিক্ষায় ভর্তি হার বৃদ্ধির জন্য অভিভাবক ও অংশীজনসহ বিভিন্ন সচেতনতামূলক সেমিনার আয়োজন করা হচ্ছে।

 

সাব কম্পোনেন্ট ১.২: অগ্রাধিকার খাত সমূহে বাজার-চাহিদা অনুযায়ী স্বল্পমেয়াদি প্র্রশিক্ষণ কার্যক্রম:

এই উপ-কম্পোনেন্টের আওতায় জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ অথবা বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত সরকারি-বেসরকারি ১৩৪টি প্রতিষ্ঠানে ৩৬০ ঘণ্টা মেয়াদি বা কম্পিটেনন্সি স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী যুগোপযোগী উচ্চ চাহিদা আছে এমন সংক্ষিপ্ত কোর্সের মাধ্যমে প্রায় ২ লক্ষ জনকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। বিনামূল্যে একজন বেকার এ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে পারবে। আবার নিয়মিত উপস্থিতি সাপেক্ষে সাধারণ প্রশিক্ষণার্থীগণকে প্রতিমাসে ১৫০০ টাকা এবং নারী, প্রতিবন্ধী ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী প্রশিক্ষিণার্থীবৃন্দ প্রতিমাসে ২০০০ টাকা প্রশিক্ষণ ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়াও প্রশিক্ষিণার্থীদের যাতায়াত ভাতা হিসেবে দৈনিক ৮০ টাকা করে মাসিক সর্বোচ্চ ১৭৬০ টাকা এবং সর্বমোট সর্বোচ্চ ৩৭৬০ টাকা প্রদান করা হবে। সকল প্রশিক্ষণ কার্যক্রম ফেসিয়াল রিকগনিশন ক্যামেরা এবং বায়োমেট্রিক হাজিরার মাধ্যমে সম্পন্ন করা হবে। একজন প্রশিক্ষণার্থী একই কোর্সের উচ্চতর প্রশিক্ষণ নিতে পারবে তবে একাধিক কোর্স বা অকুপেশনে প্রশিক্ষণ নিতে পারবে না। সকল ধরনের সম্মানী ও প্রশিক্ষণ ভাতা ব্যাংকিং চ্যানেলে বা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সম্পন্ন হচ্ছে।

সাব কম্পোনেন্ট ১.৩: আর্ন্তজাতিক মানের মডেল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপন:

এই উপ-কম্পোনেন্টের মাধ্যমে একটি আন্তর্জাতিক মানের মডেল পলিটেকনিক স্থাপন করা হবে । এই প্রতিষ্ঠানে দেশি-বিদেশি প্রশিক্ষণার্থী পড়াশুনার সুযোগ পাবে। বিভিন্ন দেশের সাথে মিউচুয়াল রিকগনিশনের মাধ্যমে ক্রেডিট ট্রান্সফারের মত সুযোগ থাকবে। উন্নত দেশের শিক্ষক ও ব্যবস্থপনায় শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়ে BOOT (Build Operate Own Transfer) মোডে প্রতিষ্ঠানটিতে একসময় বিশ্বমানের দেশীয় শিক্ষক দ্বারা পরিচালিত হবে। দেশের কারিগরি শিক্ষার মান উন্নীত হবে বিশ্বমানে। সিঙ্গাপুরের নানিয়াং পলিটেকনিক ইন্টারন্যাশনালের কারিগরি সহায়তায় প্রতিষ্ঠানের জন্য টেকনোলজি, সিলেবাস, ল্যাব ডিজাইন বিষয়ক পরামর্শ নেয়া হবে। একটি পরিচালনা পর্ষদ দ্বারা পরিচালিত এই প্রতিষ্ঠানের প্রাথমিক কার্যক্রম সরকারের বিভিন্ন কর্মকর্তা-শিক্ষকগণকে প্রেষণে বা সংযুক্তি দিয়ে নিজস্ব ক্যাম্পাসে বা ভাড়া করা ক্যাম্পাসে এ কার্যক্রম চালানো হতে পারে। পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটটের বিশেষ শিক্ষকপুলকে এ প্রতিষ্ঠানের জন্য বিদেশে বিশেষ মেয়াদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।

 

সাব কম্পোনেন্ট ১.৪: TVET সেক্টরে স্থিতি তৈরি করতে COVID-19 এর বিপরীতে করণীয় কার্যক্রম:

শিক্ষার ধারাবাহিকতা রক্ষা এবং পুনঃচালুর প্রস্তুতি নিশ্চিত করতে TVET সেক্টরের স্থিতিশীলতা বর্ধনে এই উপাংশটি ডিপ্লোমা-প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান এবং DTE/BTEB কে সহায়তা করবে। এই উপাংশটি 4G কানেক্টিভিটি, ডিভাইসের খরচ বহনে অক্ষম শিক্ষার্থীদের জন্য মোবাইল ইন্টারনেট কানেক্টিভিটিসহ ডিজিটাল ডিভাইস (ট্যাবলেট) প্রদান, ডিপ্লোমা কোর্সের অনলাইন/মিশ্র ক্লাস চালু করার জন্য বিষয়বস্তু (কন্টেন্ট) সমৃদ্ধকরণের পাশাপাশি মহামারির প্রভাবে বাদ পড়া রোধ করবে এমন প্রচারণাও চালানো হবে।

কম্পোনেন্ট ২:   কর্মসংস্থান ও ক্ষমতায়নের জন্য উদ্ভাবনীমূলক দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচি

 

সাব কম্পোনেন্ট ২.১: এন্টারপ্রাইজভিত্তিক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম:

এ উপাংশের আওতায় নির্বাচিত ইন্ডাস্ট্রি পার্টনারের মাধ্যমে মোট ২ লক্ষ ২২ হাজার ৫০০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে (৩ দিন-EMTP-Soft Skills, ১৪ দিন-MMTP-Soft Skills, ২১ দিন-SUTP-Technical Skills, ৩ মাস ADTP/TSTP-Technical Skills এবং ৬ মাস-IHTP-Technical Skills) ছয় ধরণের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। এ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিল্প মালিক, শিল্পকারখানার উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপকগণের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়াও কর্মসংস্থান বৃদ্ধির জন্য সারা দেশের  বেকার ও সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকেও প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। এন্টারপ্রাইজ ভিত্তিক প্রশিক্ষণের অন্যতম একটি উদ্দেশ্য হলো ইন্ডাস্ট্রি-ইনস্টিটিউট লিংকেজ বৃদ্ধিকরণ। এ সকল প্রশিক্ষণ ইন্ডাস্ট্রি পার্টনার কর্তৃক সম্পন্ন করা হবে। জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (NSDA)  কর্তৃক অনুমোদিত অগ্রাধিকারভুক্ত শিল্প দক্ষতা পরিষদ (ISC) বা শিল্প সংস্থা (Industry Association) বা শিল্প সহযোগী (Industry Partner) এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত অন্যান্য সংস্থা বা অ্যাসোসিয়েশন ইন্ডাস্ট্রি পার্টনার হিসেবে বিবেচিত হবে। ইন্ডাস্ট্রি পার্টনারের সাথে সরাসরি পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (PPP) চুক্তির মাধ্যমে শিল্পপ্রতিষ্ঠানধর্মী এন্টারপ্রাইজ ভিত্তিক প্রশিক্ষণসমূহ সম্পন্ন হবে। বিনামূল্যে একজন বেকারকে এ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে পারবে। আবার নিয়মিত উপস্থিতি সাপেক্ষে সাধারণ প্রশিক্ষণার্থীগণকে প্রতিমাসে ১৫০০ টাকা করে এবং নারী, প্রতিবন্ধী ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী প্রশিক্ষিণার্থীবৃন্দকে প্রতিমাসে ২০০০ টাকা করে প্রশিক্ষণ ভাতা প্রদান করা হবে। এছাড়াও যাতায়াত ভাতা হিসেবে দৈনিক ১০০ টাকা করে মাসিক সর্বোচ্চ ২২০০ টাকা এবং সর্বমোট সর্বোচ্চ ৪২০০ টাকা প্রদান করা হবে। প্রশিক্ষণ শেষে কম্পিটেন্ট হওয়া সাপেক্ষে এ ভাতাসমূহ প্রদান করা হবে। সকল প্রশিক্ষণ কার্যক্রম ফেসিয়াল রিকগনিশন ক্যামেরা এবং বায়োমেট্রিক হাজিরার মাধ্যমে মনিটর করা হবে। একজন প্রশিক্ষণার্থী একই কোর্সের বা অকুপেশনের উচ্চতর প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন তবে একাধিক কোর্স বা অকুপেশনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীবৃন্দ এই প্রশিক্ষণের জন্য যোগ্য নয়। সকল প্রশিক্ষণার্থীদের জাতীয় পরিচয়পত্র থাকতে হবে। সকল ধরনের সম্মানী ও প্রশিক্ষণ ভাতা ব্যাংকিং চ্যানেলে বা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রদান করা হবে। এছাড়াও প্রায় ৮ হাজার Assessor তৈরির উদ্যোগও গ্রহণ করা হয়েছে। আবার কয়েকশত কম্পিটেন্সি স্ট্যান্ডার্ড প্রস্তুতের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

 

 

সাব কম্পোনেন্ট ২.২: পূর্ব অভিজ্ঞার স্কীকৃতি ও সনাদায়ন কার্যক্রম:

RPL (Recognition of Prior Learning) এর আওতায় প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি নেই কিন্তু বিশেষ কারিগরি দক্ষতা রয়েছে এমন ইনফরমাল সেক্টরের কর্মজীবীদেরকে ফরমাল ওয়ার্কফোর্সে আনার জন্য দুইদিন ব্যাপী ওরিয়েনন্টেশন ক্লাস শেষে তৃতীয় দিনে বিশেষ অ্যাসেসমেন্টের মাধ্যমে প্রায় ১ লক্ষ ২৩ হাজার জনকে এই কার্যক্রমের মাধ্যমে বিনামূল্যে সনদায়ন করা হবে। বিনামূল্যে একজন বেকার এ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে পারবে। এছাড়া ২ হাজার টাকা প্রশিক্ষণ ভাতা প্রদান করা হবে।

 

কম্পোনেন্ট ৩:   সক্ষমতা বর্ধন, প্রকল্প ব্যবস্থপনা, সামাজিক বিপণন এবং পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন

 

সাব কম্পোনেন্ট ৩.১: দক্ষতা উন্নয়ন ব্যবস্থাপনার আওতায় কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থাগুলির প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি:

এই উপাংশটি প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলোর প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষমতাকে শক্তিশালী করবে। প্রকল্প বাস্তবায়ন সহযোগীগণের (Co-implementing agency) সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য দেশে-বিদেশে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।  DTE-এর বিদ্যমান ভবনটি ৮ তলা বিশিষ্ট। এটিকে আরও ৪ তলা উপরের দিকে সম্প্রসারণ করা হবে। ভবনের বিভিন্ন সংস্কার ও সৌন্দর্য বৃদ্ধির কার্যক্রম ও বাস্তবায়ন করা হবে।

 

সাব কম্পোনেন্ট ৩.২: প্রকল্প ব্যবস্থাপনা, সামাজিক বিপণন এবং পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন:

প্রকল্প ব্যবস্থাপনা:

সহযোগী বাস্তবায়নকারী সংস্থার কর্মচারীদেরকে প্রেষণে DTE-তে পদায়নের মাধ্যমে প্রকল্প ব্যবস্থাপনা ইউনিট (PMU) প্রতিষ্ঠিত হবে। সমস্ত অংশগ্রহণকারী সংস্থা এবং NSDA, PSC এবং PIC-তে প্রতিনিধিত্ব করবে। প্রয়োজনে সরাসরি নিয়োগকৃত কর্মী এবং কারিগরি বিশেষজ্ঞও পদায়ন করা হবে।

 

সামাজিক বিপণন:

এই কার্যক্রমের লক্ষ্য হবে কারিগরি শিক্ষা সম্পর্কে সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন এবং দক্ষতা সম্পর্কে সচেতনতার বিকাশ, বিশেষ করে নারী ও সুবিধাবঞ্চিত গোষ্ঠীর জন্য কারিগরি শিক্ষাকে সহজলভ্য করা। প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাহায্যে কারিগরি শিক্ষাকে বিশেষায়িত জনগণের এবং দুর্গম এলাকার জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছানোর জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। কারিগরি শিক্ষার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধিতে বিভিন্ন অংশীজনের জন্য জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কর্মশালা, সেমিনার, কনফারেন্স আয়োজন করা হচ্ছে। এছাড়া রেডিও, টেলিভিশন ও পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রচার, বিল-বোর্ড স্থাপন, পোষ্টার-লিফলেট বিতরণ, ডকুমেন্টারি নির্মাণ, টিভি টকশো আয়োজন, টিভি/রেডিও ফিলার নির্মাণ, রেডিও প্রোগ্রাম সম্প্রচার, গান/নাটক/নাটিকা ও ফিলার পরিবেশন, পোস্টার, পুস্তিকা, প্রচারপত্র, ম্যাগাজিন, সাময়িকী, স্টিকার মুদ্রণ ও বিতরণসহ  ইত্যাদি কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

 

স্কিলস কম্পিটিশন: প্রকল্পের আওতায় প্রতিবছর আয়োজিত হচ্ছে কারিগরি শিক্ষার একমাত্র মেধা ও উদ্ভাবনী বিকাশের এই প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতাটি তিনটি পর্যায়ে আয়োজিত হয়-প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়, আঞ্চলিক পর্যায় ও জাতীয় পর্যায়। শিক্ষার্থীবৃন্দ একক বা দলগতভাবে (সর্বোচ্চ ৩ জন) এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারে। সারাদেশে একযোগে মহা আড়ম্বরে প্রাতিষ্ঠানিক পর্বের এ প্রতিযোগিতাটি আয়োজিত হয়। প্রাতিষ্ঠানিক পর্বের সেরা তিনটি করে প্রকল্প নিয়ে আঞ্চলিক পর্বের প্রতিযোগিতাটি আয়োজিত হয়। আঞ্চলিক পর্বের আয়োজনে একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও একটি সচেতনাবৃদ্ধিমূলক সেমিনার আয়োজন করা হয়। সেমিনারে আমন্ত্রণ জানানো হয় প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ প্রায় তিনশত হাইস্কুল ও মাদ্রাসার প্রধানগণকে। পাশাপাশি প্রতিযোগিতার স্টলগুলো উন্মুক্ত থাকে সাধারণ দর্শকদের জন্য। দেশের সকল অঞ্চলের সেরা ৫০-১০০ টি উদ্ভাবন নিয়ে আয়োজিত হয় জাতীয় পর্যায়ের স্কিলস কম্পিটিশন। জাতীয় পর্যায়ের স্কিলস কম্পিটিশনেও একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও সেমিনারে আয়োজন করা হয়। সেরা প্রতিযোগীদের হাতে তুলে দেয়া হয় আকর্ষণীয় পুরস্কার। বাণিজ্যিকভাবে বাজারজাত করার উপযোগী উদ্ভাবনগুলোর জন্য প্যাটেন্ট গ্রহণ কার্যক্রমসহ বাণিজ্যিকীকরণের জন্য বিভিন্ন ভেঞ্চারগ্রুপের পাশাপাশি প্রকল্প দপ্তর থেকেও সিড ফান্ডিং করা হয়ে থাকে।

 

পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন (M&E): প্রকল্পটি বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণের জন্য সমস্ত প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থার কাছ থেকে নিয়মিত তথ্য সংগ্রহ করা হয়।

 

কম্পোনেন্ট   ৪:   তাৎক্ষনিক জরুরি কর্মসম্পাদন:

তাৎক্ষণিক জরুরিভিত্তিক কর্মসম্পাদন অংশটি প্রকল্পের অধীনে জরুরি সাহায্যের পরিস্থিতির জন্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। একটি যথার্থ সংকট বা জরুরি পরিস্থিতিতে, যদি ব্যাংক সহমত হয়, প্রকল্পটি উল্লিখিত সংকট বা জরুরি অবস্থার জন্য একটি তাৎক্ষণিক এবং কার্যকর প্রতিক্রিয়া প্রদর্শনে অবদান রাখবে। এটি ভবিষ্যতের প্রাকৃতিক বা মনুষ্যসৃষ্ট বিপর্যয় বা সংকটের ক্ষেত্রে প্রকল্পের আয়ের দ্রুত পুনঃনির্ধারণের অনুমতি দেবে যা প্রকল্পের জীবনকালে একটি বড় প্রতিকূল অর্থনৈতিক এবং/অথবা সামাজিক প্রভাব সৃষ্টি করেছে বা হতে পারে।

 

এক্সেসিবিলিটি

স্ক্রিন রিডার ডাউনলোড করুন